ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ছাড়া আরও ৫ কর্মকর্তাকে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) থেকে সরানো হয়েছে। হারুনের পরবর্তী কর্মস্থল ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন বিভাগ। হারুনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মহা. আশরাফুজ্জামান। তিনি ডিএমপির লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট শাখার দায়িত্বে ছিলেন।
বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেলে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে হারুনসহ অতিরিক্ত কমিশনার পদ মর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন শাখার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত কমিশনার ডা. খ. মহিদ উদ্দিনকে ক্রাইম থেকে ডিএমপির লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট শাখায় বদলি করা হয়েছে।
এ ছাড়া পৃথক আরেকটি আদেশে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার পদ মর্যাদার তিন কর্মকর্তার রদবদল হয়েছে। বিপ্লব কুমার সরকারকে ডিএমপির অপারেশন শাখা থেকে অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ, সঞ্জিত কুমার রায়কে অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ থেকে গোয়েন্দা-উত্তর ও খোন্দরকার নুরুন্নবীকে গোয়েন্দা-উত্তর থেকে ডিএমপির অপারেশন শাখায় বদলি করা হয়েছে।
গত ২৯ জুলাই সন্ধ্যায় গণভবনে ১৪ দলীয় জোটের জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে ১৪ দলের নেতারা দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের মূল্যায়ন তুলে ধরেন ১৪ দল নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে। ওই সভায় জামায়াত নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি ডিবির কার্যক্রম নিয়ে ১৪ দলের নেতারা সমালোচনা করেন।
কোটা আন্দোলনের সমন্বকারীসহ বিভিন্ন জনকে নিয়ে খাবার খাচ্ছেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, এ রকম ছবি ও ভিডিও প্রায়ই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে। উচ্চ আদালত ডিবি হারুনের এসব ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে যে মূল্যায়ন দিয়েছেন সে বিষয়টি তুলে ধরে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, এটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। ডিবিতে যে সমন্বয়কদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে এটি ঠিক হয়নি।
১৪ দল থেকে ডিবির এ ধরনের কর্মকাণ্ড ও বিশেষ করে ডিবিপ্রধানের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সমালোচনা করা হয়। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিবির এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাতেই কথা বলবেন। জোটের সভায় এমন আলোচনার পর থেকেই হারুনকে ডিবির দায়িত্ব থেকে সড়িয়ে দেওয়ার আলোচনা চলছিল।