আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হতো না বলে মনে করেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
তিনি বলেন, স্বাধীন দেশে গণতান্ত্রিক সব দলের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) সরকারের নির্বাহী আদেশে জামায়াতকে নিষিদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলেন ড. ফরহাদ।
বিবৃতিতে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আওয়ামী লীগ এই জামায়াতকে নিয়ে ১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করেছে। তাছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের ৫টি পার্লামেন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব ছিল। দেশবাসী মনে করে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের কথা বলা হলেও কার্যত রাজনৈতিক কারণে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলে আজকে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হতো না।
এর আগে বিকেলে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। সরকারের নির্বাহী আদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়।
বিবৃতিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারাকে গণতন্ত্র হত্যায় কালো আইন হিসেবে আখ্যা দিয়ে এনপিপির চেয়ারম্যান বলেন, পদত্যাগের গণদাবি এবং কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় প্রাণহানিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে ঘোরাতে সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছে। এতে প্রমাণিত হলো, এই দেশে এখন আর কোনো গণতন্ত্রের চর্চা নেই। তারা আগামীতে গণতান্ত্রিক অন্য রাজনৈতিক দলকেও একই পন্থায় নিষিদ্ধ করতে পারে। আসলে তারা দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। জনগণ সরকারের এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।
ফরিদুজ্জামান ফরহাদ আরও বলেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নেতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে অন্যকোনো সরকারও এমন দৃষ্টান্ত অনুসরণ করলে সেক্ষেত্রে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।