মুন্সিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রোববার (০৪ আগস্ট) মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট ও কৃষি ব্যাংক মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল।
তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পর্যবেক্ষণ করে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার সকালে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট ও কৃষি ব্যাংক মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকে আন্দোলনকারীরা এবং তাদের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীদেরও অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
পরে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে সুপার মার্কেট থেকে কৃষি ব্যাংক এলাকাজুড়ে রণক্ষেত্র পরিণত হয়।
আন্দোলনকারীরা মুন্সিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে হামলা করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পাশাপাশি মুক্তারপুর ও শিপাহিপাড়া এলাকায় বেশকিছু দোকানপাট ভাঙচুর করে। এখনো শহরজুড়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।