দেশের বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট থেকে সরানো হলো সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টাদের তথ্য। এসব তথ্যের মধ্যে তাদের ছবি, জীবনবৃত্তান্ত, বাণীসহ বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট ছিল। এসব তথ্য সরানোর জন্য দিনভর বন্ধ ছিল সরকারি ওয়েবসাইটগুলো।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) কালবেলাকে সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা ওয়েবসাইট থেকে উল্লিখিত কনটেন্টগুলো সরানোর দাবি করেছিলেন বলে কালবেলাকে জানায় একটি সূত্র।
মঙ্গলবার দিনভর সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে না পারার অভিযোগ জানান অনেক ব্যবহারকারী। কালবেলার পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশের চেষ্টা করে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। খোদ আইসিটি বিভাগ, আইসিটি অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর ওয়েবসাইট অচল। এসব ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। জানা যায়, দেশের সরকারি ওয়েবসাইটগুলো ন্যাশনাল পোর্টাল ফ্রেমওয়ার্কের সাথে যুক্ত। বিষয়টির কারিগরি দিকগুলো দেখভাল করে এটুআই। তবে এটুআই এর নিজস্ব ওয়েবসাইটই ফ্রেমওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত না। ফলে প্রায় সবগুলো সরকারি ওয়েবসাইট অচল থাকলেও, সচল রয়েছে এটুআই এর ওয়েবসাইট।
এটুআই এর কমিউনিকেশনস অ্যান্ড আউটরিচ কনসালটেন্ট আদনান ফয়সল মঙ্গলবার বিকেলে কালবেলাকে বলেন, ওয়েবসাইটগুলোর মেইনটেন্যান্স (রক্ষণাবেক্ষণ) এর কাজ চলছিল। বিকেল সাড়ে ৫টার ওয়েবসাইটগুলো পুনরায় চালু হয়।
পাশাপাশি আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, ওয়েবসাইটগুলোতে কিছু সাইবার আক্রমণ হয়েছিল। সব ঠিকঠাক করে দ্রুত সেগুলো সচল করতে কাজ চলছে।
এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া ওয়েবসাইট বন্ধের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, সরকারি ওয়েবসাইটগুলো থেকে শেখ হাসিনার ছবি, বাণী এবং এ ধরনের অন্যান্য কনটেন্ট সরানো হচ্ছে। এগুলো দীর্ঘদিনের অনেক কনটেন্ট যা সরাতে প্রচুর সময় লাগে। এগুলো এখনো ওয়েবসাইটে থাকলে সেটাও ভালো দেখায় না। সেগুলো সরিয়ে দ্রুত ওয়েবসাইট সচল করা হবে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওয়েবসাইটগুলো চালু হয়। তখন দেখা যায়, এসব ওয়েবসাইট থেকে শেখ হাসিনা, সংশ্লিষ্ট সাবেক মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সাবেক উপদেষ্টাদের তথ্য সরানো হয়েছে। ওয়েবসাইটগুলোতে বর্তমানে শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে সংশ্লিষ্ট সচিবদের তথ্য রয়েছে শুধু।