Friday, November 8, 2024

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতাসহ নিহত ৩

আরও পড়ুন

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। গত দুদিনে থানা ও উপজেলা পরিষদের অন্তত ১২টি কার্যালয় ও আওয়ামী লীগের আট নেতার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, অস্ত্র লুটসহ আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মেহেদী মঞ্জুর বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, রামগঞ্জে সোমবার (৫ আগস্ট) পৃথক ঘটনায় দুজনকে পিটিয়ে হত্যা এবং

রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আরাফাত তিনজনের মৃত্যু ও হামলা-ভাঙচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবরে সোমবার বিকেলে আন্দোলনকারীরা উপজেলার ভোলাকোটের আথাকরা গ্রামের যুবলীগ নেতা মো. নাসিরকে আটক করে। এ সময় তাকে প্রকাশ্যে পিটুনি দিয়ে হত্যা করা। সারারাত মরদেহ রাস্তার ওপর পড়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। মঙ্গলবার সকালে জানাজা ছাড়াই নিহতের পরিবার মরদেহ দাফন করে। নিহত নাসির জেলা যুবলীগের বিলুপ্ত কমিটির সদস্য ও ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহমেদ মানিকের ছোট ভাই।

একই সময় লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের এমপি আনোয়ার হোসেন খানের মালিকানাধীন খান টাওয়ারে ভাঙচুর করে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। জীবন বাঁচাতে ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে ১২ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

এ ছাড়া জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সোমবার রাতে রামগঞ্জ পৌর শহরের সোনাপুর এলাকায় মনির হোসেন আটিয়া (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। নিহতের পরিবারের ভাষ্যমতে, একই বাড়ির জসিম, নাছির ও কামাল হামলা চালিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, পৌরসভার মেয়র ও পৌর কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর আঙ্গারপাড়ার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আসবাবপত্রসহ সব মালামাল লুট করে নেওয়া হয়। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্নস্থানে আরো ৭ নেতার কার্যালয়, বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়।

উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, ইউএনও, চেয়ারম্যান, প্রকৌশলী, পিআইওসহ অন্তত ১২ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় ৩টি সরকারি গাড়ি, নথিসহ আসবাবপত্র বাইরে এনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ