বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছে ভারতের অন্যতম রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ড. ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের পর এ অভিনন্দন জানায় তারা।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দলটির নেতা রাহুল গান্ধী পৃথক এক্স-বার্তায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান। তারা দুজনই বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফিরে আনার প্রতি জোর দেন।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানাই। আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি যে, বাংলাদেশে স্বাভাবিকতা এবং শান্তি ফিরে আসবে। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। যার সাথে আমরা ভারতীয়রা একটি ঐতিহাসিক সম্পর্ক ভাগ করে নিয়েছি। আমরা সংখ্যালঘুসহ সব বাংলাদেশীর নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করি।
এদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানান। অভিনন্দন বার্তায় মোদি লিখেছেন, মুহাম্মদ ইউনূসকে নতুন দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা। তিনি আরও বলেন, আশা করি, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করে বাংলাদেশে স্বাভাবিক অবস্থা দ্রুত ফিরে আসবে। শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য আমাদের উভয় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রসঙ্গত, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। বঙ্গভবনের দরবার হলে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২৭ মিনিটে শপথ নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রথমে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। এরপর বাকি ১৬ উপদেষ্টার মধ্যে ১৩ জন শপথ পাঠ করেন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।