ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ওইদিন একটি সামরিক কার্গো বিমানে ভারতের উদ্দেশে উড়াল দেন শেখ হাসিনা। ছোট বোন শেখ রেহেনাসহ ওই ফ্লাইটটি ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় ভারতের গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ারবেসে অবতরণ করে। যাত্রাপথে তাদের ফ্লাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে ভারতীয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
ঠিক কীভাবে এই কাজটি করেছে ভারতীয় গোয়েন্দারা, এক প্রতিবেদনে তা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। মঙ্গলবার (৬ আগম্ট)
বিভিন্ন সূত্রের বরাতে ভারতীয় গোয়েন্দারা ঠিক কীভাবে এই কাজটি করেছে, এক প্রতিবেদনে তা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সি-১৩০জে সামরিক কার্গো বিমানে করে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন শেখ হাসিনা। আকাশে উড়াল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটি এজেএএক্স সাইন প্রদর্শন করতে থাকে। স্থানীয় সময় বিকাল ৩টার দিকে কম উচ্চতায় ভারতীয় সীমান্তের কাছে এটিকে উড়তে দেখা যায়।
পরে এটি ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশ করে কলকাতার উপর দিয়ে উড়ে যায়। এ সময় ভারতীয় রাডার বিমানটির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখে।
আরও পড়ুন:
আমি নিজ থেকে সরে গেছি, পদত্যাগ করেছি: শেখ হাসিনা
আমি নিজ থেকে সরে গেছি, পদত্যাগ করেছি: শেখ হাসিনা
বেশ কয়েকজন ভারতীয় শীর্ষ প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাতে ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, জরুরি পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার বিমানকে যেকোনো ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য ভারতীয় বিমান সেনারা দুটি রাফাল যুদ্ধবিমানও সক্রিয় করে রাখে।
তারা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতীয় সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনার বিমানটি পর্যবেক্ষণ শুরু করে ভারত। এটি দিল্লির দিকে যাচ্ছিল। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমানটি বিকেল ৪টার দিকে পাটনা অতিক্রম করে এবং উত্তর প্রদেশ-বিহার সীমান্তের কাছে পৌঁছায়।
স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে বিমানটি নিরাপদে হিন্দন বিমানঘাঁটিতে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল স্বাগত জানান।
শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের শাসনামলে ভারতের অকুন্ঠ সমর্থন পেয়ে এসেছে। ভারতের জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে আওয়ামী লীগকেই সেরা বিকল্প মনে করে দিল্লি। বাংলাদেশের গত তিনবারের বিতর্কিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পাশে ছিল ভারত। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন হাসিনার পতন ঘটে।