নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনে আবুল হাসান স্বজন (২০) নামের এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানসহ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও অন্তত ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে৷
শনিবার (১৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে চাষাঢ়া এলাকার বাসিন্দা আবুল বাশার অনিক বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
সদর মডেল থানার ওসি আব্দুস সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ছাড়াও মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান, অয়ন ওসমান, আজমেরী ওসমান, শাহ নিজাম, নাসির উদ্দিন, এহসানুল হক নিপু, হাবিবুর রহমান রিয়াদ, তানভীর আহমেদ টিটু, কামরুল হাসান মুন্না, আব্দুল করিম বাবু, বান্টি, রাফেল, মতিউর রহমান মতি, রুহুল আমিন, ফজর আলী, খান মাসুদ, বিটু, দেলোয়ার প্রধান, লিটন সাহা, কোরবান, আলী রেজা উজ্জ্বল, মনির হোসেন, সুজিত সাহা, সাইফুল্লাহ বাদল, শওকত আলী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. রিফাত, নাছির, শ্যামল, অহিদুজ্জামান অহিদ, শুভ, এহসান উদ্দিন আহমেদ, ফয়সাল, নির্জন দাস, টিপু সুলতান, রামু সাহা, অ্যাডভোকেট মহসিন, মিনহাজুল বিকি, বাপ্পিসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে ২শ জন।
মামলায় বাদী অনিক উল্লেখ করেন, ৩ আগস্ট বিকেলে শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রীদের নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র ও আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শহরে মহড়া দিতে থাকে ও ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় মিশনপাড়া এলাকায় ছাত্র জনতার অবস্থানকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে তারা। সে সময় বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা গ্রামের আবুল হাসান স্বজনসহ গুলিবিদ্ধ হয় অনেকে।
আহত অবস্থায় স্বজনকে ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাকে। পরদিন ৬ আগস্ট ভোরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।