Thursday, November 7, 2024

জামালপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০

আরও পড়ুন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের সময় জামালপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। দফায় দফায় এ সংঘর্ষ সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে পৌরশহরের দেওয়ানপাড়ার সৈয়দ আলী মণ্ডল কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ময়মনসিংহ অঞ্চলের নেতারা দেওয়ানপাড়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করেন। সেখানে সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেত্রী নিলোফার চৌধুরী মনি তার লোকজন নিয়ে প্রবেশের সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনের লোকজনের ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

নেতাকর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্স জামালপুরের নেতাকর্মীরা একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করেন। বিকেলে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে সভায় জেলা বিএনপির পাঁচজন, প্রত্যেক উপজেলা বিএনপির দুজন, পৌর বিএনপির দুজন ও সব অঙ্গ সংগঠনের জেলা কমিটির পাঁচজন করে উপস্থিত থাকবেন বলে আমন্ত্রণ করা হয়। সে আলোচনা সভায় জেলা বিএনপির সদস্য শামীম আহাম্মেদ একটি মিছিল নিয়ে উপস্থিত হন। বিএনপি নেতা শামীম আহাম্মেদ ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনিসহ নেতাকর্মীরা আলোচনা সভায় ঢোকার সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

আরও জানা যায়, এ সময় শামীমের অনুসারীরা মামুনের গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে বিএনপি নেতা মামুনের অনুসারীরা শামীম আহাম্মেদর অনুসারীদের ধাওয়া দিয়ে ফৌজদারী মোড়ে নিয়ে যায়। সেখানে বিএনপি নেতা শামীম আহাম্মেদের অনুসারীদের কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এ সংঘর্ষে আহত হন- সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শফিউর রহমান শফি, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান আরমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূরুল মোমেন আকন্দ কাওসার, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম কর্নেল, প্রচার সম্পাদক শাকিল লস্কর, জেলামৎসজীবী দলের সভাপতি আব্দুল হালিম, সাইফুল ইসলামসহ প্রায় ৩০ জন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শাহ মো.ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, আজকের এই সভাটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে জেলা, উপজেলা ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভা ছিল। এখানে একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে। সে নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে একজন কেন্দ্রীয় নেত্রীর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একটি দল যায়। তারা ওই নিয়ম ভেঙে ভেতরে আসার চেষ্টা করে। বারবার বোঝানোর পরও তারা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। আমার মনে হয় তারা পরিকল্পিতভাবে এখানে আসছে এবং ভাঙচুর করেছে।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজকে একটি বৈঠক করবেন। সে বৈঠক উপলক্ষে আমরা আসছি। কিন্তু এখানে জেলা বিএনপি যেভাবে নিয়ম করছে, সে নিয়মটা যদি সুষ্ঠুভাবে করত। আমাদের ছেলেরা যারা নিয়মের মধ্যে পড়ত তারা যেতে পারত। তারা নিয়মটা এমন অন্যায়ভাবে করছে। অগণতান্ত্রিকভাবে করছে। যারা ত্যাগী, যারা ১৭ বছর কষ্ট করছে, জেল-জুলুম খেটেছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের নামে কোনো মামলা নেই। এ সময় তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে চলার অভিযোগ করেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ