Thursday, November 7, 2024

সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল

আরও পড়ুন

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে তার ঢাকার হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগমের আগেই সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সিডিউল নেওয়া ছিল। গত ২৭ আগস্ট মহাসচিবের সহধর্মিণী সিঙ্গাপুরে গেছেন। কিন্তু দেশের পূর্বাঞ্চলে হঠাৎ ভয়াবহ বন্যা ও দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কারণে বিএনপি মহাসচিব সিঙ্গাপুরে যাওয়ার তারিখ পরিবর্তন করেন। আজ রোববার রাতে সিঙ্গাপুর যাবেন তিনি।

এর আগে গত মার্চে কারাগার থেকে মুক্তির পর সস্ত্রীক চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান মির্জা ফখরুল। মির্জা ফখরুল এর আগেও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়েছেন। ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট তিনি সিঙ্গাপুরে যান। ২০১৫ সালে বিএনপি মহাসচিবের ঘাড়ের ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়লে সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করান তিনি। এরপর প্রতি বছরই ফলোআপ চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর যেতে হয়।

এদিকে, নতুন বাংলাদেশ গড়ার শপথে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা স্বৈরতন্ত্রের পতনের পরে ‘মুক্ত পরিবেশে’ নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার শপথ নিয়েছেন তারা। এরপর বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন, বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলবার জন্য নিজে কাজ করছেন সেই বাংলাদেশকে গড়ে তোলবার জন্য আজকে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি, শপথ নিয়েছি। যে কোনো বালাই আসুক, সব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠা করা, মুক্তবাজার অর্থনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমরা কাজ করে যাব… এটা আমাদের শপথ।

তিনি বলেন, আজকে ২০২৪ সালে যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি তার জন্য বিএনপি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে। বিএনপির সবচেয়ে বেশি নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে, ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে শুধু গণতান্ত্রিক সংগ্রামের জন্য। আমরা আজকে এদিনকে স্মরণ করছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আজকে আমরা এই দিনটিকে মুক্ত স্বাধীন পরিবেশে পালন করতে পারছি।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বিএনপি সবসময় নেতৃত্ব দিয়েছে, আগামী দিনে সঠিক রাজনীতি এবং জনগনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সঠিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাব। এখন বিএনপির মূল কাজ হচ্ছে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই আদর্শগুলোকে বাস্তবায়িত করা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন তাকে প্রতিষ্ঠিত করা।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ