চলতি সেপ্টেম্বর মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়ছে নাকি কমছে, তা জানা যাবে আজ সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর)। এদিন এক মাসের জন্য এলপিজি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করা হবে।
রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত সেপ্টেম্বর (২০২৪) মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী এ মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বিইআরসির নির্দেশনা সোমবার বিকেল ৩টায় ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, গত ৪ আগস্ট ভোক্তা পর্যায়ে আগস্ট মাসের জন্য ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম জুলাই মাসের তুলনায় ১১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর গত জুলাইয়ে বাড়ানো হয়েছিল ৩ টাকা। সে সময় ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৩৬৬ টাকা।
তবে গত জুন ও মে মাসে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম যথাক্রমে ৩০ টাকা ও ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা এবং ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর টানা ৮ মাস বাড়ার পর গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে কমানো হয়েছিল এলপিজির দাম। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া গত মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা ও জানুয়ারিতে ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এদিকে, গত আগস্ট মাসে বিইআরসি এলপিজির সঙ্গে অটোগ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল। আগস্টে অটোগ্যাসের দাম জুলাইয়ের তুলনায় মূসকসহ ৫১ পয়সা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৬৩ টাকা ২১ পয়সা। আর জুলাইয়ে অটোগ্যাসের দাম জুনের তুলনায় মূসকসহ ১৭ পয়সা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬২ টাকা ৭০ পয়সা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।
২০২১ সালের এপ্রিল মাসের আগে পর্যন্ত অতি জরুরি এই পণ্যটির দাম ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। পরবর্তী সময়ে ওই বছরের ১২ এপ্রিল দাম ঘোষণার সময় বলা হয়- আমদানিনির্ভর এই জ্বালানি সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তিমূল্য ধরা হবে। প্রতি মাসেই সমন্বয় করা হবে। সৌদির দর ওঠানামা করলে ভিত্তিমূল্য ওঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। তখন থেকেই প্রতি মাসেই দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি।