ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল-লেবাননের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাতের শঙ্কা বেড়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে দেশ দুটি যে কোনো সময় পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য হিজবুল্লাহকে দায়ী করে লেবাননে বড় হামলার হুমকি দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহুর এ হুমকিতে উত্তেজনার পারদ আরও ছড়িয়েছে। যে কোনো ধরনের হামলার পাল্টা জবাব দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে হিজবুল্লাহ। ইতোমধ্যে তারা তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের স্থানান্তরও শুরু করেছে।
আজ মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে হিজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের হুমকিকে তারা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। যদি ইসরায়েলিরা লেবাননে বড় কোনো হামলা চালায় তাহলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। আর এর জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছে লেবানন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিদেশিদের পক্ষ থেকে তাদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে ইসরায়েল হামলা চালালেও তারা যেন কোনো প্রতিশোধ না নেয়। কিন্তু হামলা হলে তারা অবশ্যই পাল্টা হামলা চালাবেন। তবে এটির পরিধি কেমন হবে তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
তিনি বলেছেন, আগ্রাসনের জবাবের পরিধি ও বিস্তৃতি ঠিক করবেন প্রতিরোধ বাহিনীর নেতারা। বিদেশি দূতরা বলছেন ইসরায়েল হামলা চালালে আমরা যেন প্রতিশোধ না নেই, যেন যুদ্ধ ছড়িয়ে না পড়ি। কিন্তু আমরা জবাব দেব।
এই নেতা আরও হুমকি দিয়েছেন, যদি ইসরায়েলি সেনারা লেবাননে স্থল হামলা চালায় তাহলে হিজবুল্লাহও দখলদার ইসরায়েলে স্থল হামলা চালাবে।
তিনি বলেছেন, আমরা ইসরায়েলের কাছ থেকে কোনো স্থল হামলার আশঙ্কা করছি না। কিন্তু তারা যদি স্থল হামলা চালায় তাহলে আমরা প্রস্তুত। যদি তারা লেবাননে প্রবেশ করে তাহলে আমরা গ্যালিলিতে (ইসরায়েলি সীমান্তবর্তী অঞ্চল) প্রবেশ করব।
ইসরায়েল হিজবুল্লাহকে দায়ী করলেও সশস্ত্র এ গোষ্ঠী শুরু থেকেই জানিয়ে আসছে শিশুরা যেখানে নিহত হয়েছে তারা সেখানে কোনো ধরনের হামলা চালায়নি।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ তাদের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রগুলো স্থানান্তর শুরু করেছে। যদিও হিজবুল্লাহর পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু করার কোনো ইচ্ছা নেই। কিন্তু ইসরায়েল যদি হামলা চালায় তাহলে তারা এসব সূক্ষ্ম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলে হামলা চালাবে।