কোটা সংস্কারের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থী, পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে।
তাদের অনেকেই হাসপাতালে আনার আগে মারা যান। অনেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহতদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
এর আগে গত সোমবার (৫ আগস্ট) ৪১ জনের মরদেহ আনা হয়। বিষয়টি নিশ্চত করেন ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন (আরএস) মো. আলাউদ্দিন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) নিয়ে আসা ১৯ মরদেহের মধ্যে রয়েছেন উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় নিহত ডিএমপি ডিবি উত্তর জোনে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (নি:) রাশেদুল ইসলাম (৪০), গাজীপুরের শ্রীপুরে নিহত বিজিবি সদস্য আব্দুল আলিম শেখ (৪৬), যাত্রাবাড়ীতে নিহত র্যাব-৬ এ কর্মরত বিজিবির ডিএডি মো. আনোয়ার হোসেন (৫৭), ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত হাজতি রাব্বি ওরফে নুরুজ্জামান (২৪), বংশাল এলাকার সাইফুদ্দিন (৬০), মনির (৪৫), রোমান (২১), মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার রুবেল (১৮), গুলশান এলাকা থেকে আসিফ (১৬), পটুয়াখালী থেকে মাহমুদ (২১)। তবে বাকি ৯ মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার দিনে সহিংসতায় সারা দেশে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এরমধ্যে বিক্ষুদ্ধ জনতা থানা আক্রমণ করতে গেলে প্রতিরোধের চেষ্টায় পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে গত সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৪১ জন নিহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর মধ্যে বিক্ষুব্ধ জনতা উত্তরা পূর্ব থানা ঘেরাও করতে গেলে গুলিতে ১০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যাত্রাবাড়ী থানায় হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
রাজধানীর বাইরে বিক্ষুদ্ধ জনতা থানা ও পুলিশের স্থাপনায় আক্রমণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। অনেক স্থানে পিটিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়াও নিহতদের মধ্যে পুলিশ ছাড়াও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন।