ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর আন্দোলনকারীসহ সব পক্ষের সম্মতিতে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়। প্রফেসর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কার্যক্রম শুরু করেছে তখন নতুন এক দাবি করে বসেছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
শনিবার (১০ আগস্ট) রয়টার্সকে জয় বলেন, ভারত পালিয়ে যাওয়ার আগে শেখ হাসিনা অফিশিয়ালি পদত্যাগ করেননি। তিনি সে সময় পাননি। তিনি ভাষণ এবং পদত্যাগপত্র সাবমিটের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা গণভবন অভিমুখে মার্চ শুরু করল। হাতে আর সময় ছিল না। এমনকি মা তার ব্যাগ গোছানোর সময়ও পাননি। সুতরাং, সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
জয় আরও জানান, সেনাপ্রধান এবং অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে প্রেসিডেন্ট সংসদ ভেঙে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অফিশিয়াল পদত্যাগ ছাড়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন তারা।
আগামী নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় যাবে। অথবা বিরোধী দল হবে বা ভালো কিছু হবে। এমনকি নির্বাচন যেন দ্রুত অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য আওয়ামী লীগ বিএনপির সঙ্গে কাজ করতেও আগ্রহী বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা গত ৫ আগস্টের মার্চ ফর ঢাকা কর্মসূচিতে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। ছাত্র-জনতার এ গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।
বর্তমানে তিনি ভারতেই থাকছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সহযোগী সংস্থা নিউজ-১৮। সংস্থাটি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ভারতেই থাকবেন। তবে তিনি ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেবেন না। এর বদলে ভারতের ভিসার মাধ্যমে দেশটিতে অবস্থান করবেন।
দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়াকে টেলিফোনে জয় বলেন, কোনো দেশে আশ্রয় চাওয়ার পরিকল্পনা শেখ হাসিনার নেই। তিনি আপাতত ভারতে থাকবেন। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে এবং বিজয়ী হবে। কারণ, দেশে দলটির বিপুল সমর্থক আছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে নেতৃত্ব শূন্যতা দেখা দিয়েছে। দলের স্বার্থে আমাকে সক্রিয় হতে হয়েছে এবং আমি আছি। দলকে বাঁচাতে যা করা প্রয়োজন তা আমি করব।
অল্প সময়ের নোটিশে মায়ের প্রাণ রক্ষার জন্য জয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান।